ধর্ষণের শিকার নারীর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পরীক্ষা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৬ আগস্ট তাদেরকে আদালতে এসে এ বিষয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রোববার এই আদেশ দেন। আদালত পাঁচ জন চিকিৎসকের নামও নির্ধারণ করে দিয়েছে। এরা হলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক প্রধান ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী ও ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইল ল্যাবরেটরির প্রধান ডা. সাফিউর আখতারুজ্জামান, মিরপুরের ডেল্টা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. জাহিদুল করিম আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক এসোসিয়েশন অফ ল মেডিসিন এন্ড সাইন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাহিরুল হক।
গত বছরের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ নামে ৬টি পৃথক সংগঠন এবং দুইজন ব্যাক্তি ধর্ষণের শিকার নারীর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা এই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়।
সম্প্রতি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে মামলাটি রুল শুনানির জন্য আসে। শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত চেয়ে একটি আবেদন দাখিল করেন। আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম নাজমুল হক শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রিট মামলার সুষ্ঠু নিষ্পত্তির জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত চেয়ে আদেশ প্রদান করে।
Discussion about this post