নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বারের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে আশিকুর রহমান (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আশিকুর মদনপুরের চাঁনপুর এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। তিনি মদনপুরের প্যানডেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন।
শনিবার রাতে বন্দরের মদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন চার পুলিশ সদস্যসহ আহতরা হলেন, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, মোহনসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে সাড়ে ৮টায় ওয়ারেন্টভুক্ত বিভিন্ন মামলার আসামি বিশেষ করে নাশকতা মামলার আসামিদের ধরতে বন্দর থানা পুলিশ মদনপুরের চাঁনপুরে অভিযান চালায়। এ সময় বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছিল। গ্রেফতারকৃতরা তারা স্থানীয় খলিল মেম্বারের লোক।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বারের সমর্থকরা টেঁটা, বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশের দুটি গাড়ি ভাংচুর করে।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত তিন প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এক ঘণ্টা পর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। শনিবার দুগ্রুপের মধ্যে পুনরায় উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে পুলিশ যাওয়ার পর পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান ওসি।
Discussion about this post