নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৩১(ক) ধারার কোনো প্রয়োগ আছে কি না এবং সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ অতীতে নিয়েছে কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণের সময় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে এবং ব্যারিস্টার মো. ওসমান আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।
আইনের ৩১ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো মামলা এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইলে ট্রাইব্যুনাল তার কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নিকট দাখিল করিতে হইবে। যার একটি অনুলিপি সরকারের নিকটও দাখিল করতে হইবে। প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
পরে আইনজীবী কুমার দেবুল দে জানান, মিলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা হয়। ওই দিনই আটক হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ওই বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় চলতি বছর ২১ মার্চ। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই মামলায় কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হননি।
তিনি আরও জানান, মামলাটি আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ওই আসামির পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। সেই শুনানির সময় আমরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৩১ (ক) ধারাটি আদালতের নজরে আনি। পরে আদালত ওই ধারার প্রয়োগ বিষয়ে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন।
Discussion about this post