বান্দরবানে রোয়াংছড়ি থেকে ১৩ নারীকে মায়ানমারে পাচারের অভিযোগে উসিরি ভিক্ষু (২৩) নামে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে আটক করেছে পুলিশ।
পাচার হওয়া মেয়েদের অভিভাবকরা জানায়, ১৫ /২০ দিন আগে বান্দরবানের রোয়াংছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ মারমা তরুণীকে এই ভিক্ষু অনাথ আশ্রমে রাখার কথা বলে মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ মন্দিরে নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে তাদের মায়ানমারে পাচার করে দেয়। এর পর থেকে নানাভাবে যোগাযোগ করেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ১৩ জন মারমা তরুণীকে বিনা পয়সায় পড়ালেখা করানোর প্রলোভন দেখিয়ে কাপ্তাইয়ের মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ মন্দিরে নিয়ে যায় বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি ভান্তে। এরপর অভিভাবকরা এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে সন্ধ্যায় কাপ্তাই পুলিশের সহায়তায় বান্দরবান পুলিশ মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ মন্দির থেকে উসিরি ভান্তেকে আটক করে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক উল্লাহ ও রোয়াংছড়ি থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, ওই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে আটক বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি ভান্তে পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলে বলেন, মায়ানমারের মংডু সীমান্তের কাছে নেজাদো মন্দিরে রোয়াংছড়ির ১১ জন মেয়েকে ধর্মীয় একটি অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
বোয়াংছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা জানান, নিখোঁজ মেয়েদের অভিভাবকরা নিরূপায় হয়ে মানবপাচারের মামলা করেছেন। একই সঙ্গে ১৩ জন মেয়ে নিখোঁজ হওয়া রহস্যজনক বলে তিনি জানান।
Discussion about this post