দু’টি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়—জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের মতো ভারতেও এমনই নীতি প্রচলিত আছে। পাশাপাশি বিয়ের জন্য পুরুষের ক্ষেত্রে বয়স ২১ বছর, নারীর ক্ষেত্রে ১৮ বছর নির্ধারণ করা আছে।
কিন্তু নিয়ম-নীতিতে ফল আসছে না বিধায় আসাম সরকার তা বাস্তবায়নে নিয়েছে আরও কড়া পদক্ষেপ। যারা বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে করবে অথবা যাদের দুইয়ের বেশি সন্তান আছে তাদের সরকারি চাকরি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। কেউ চাকরিতে থাকাবস্থায় দুই সন্তান নিলে তাকেও সরকারি চাকরির মায়া ছাড়তে হবে।
‘সাত-বোন’ খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামে বর্তমানে সরকার চালাচ্ছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রোববার (৯ এপ্রিল) রাতে এক টুইটার বার্তায় বিজেপি সরকারের এ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে করবে অথবা দুই সন্তানের বেশি নেবে তারা সরকারি চাকরির যোগ্যতা হারাবে। এমনকি দু’য়ের বেশি সন্তান থাকলে পৌরসভা বা পঞ্চায়েত ভোটেও দাঁড়ানো যাবে না। এই জনসংখ্যা নীতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
এই নীতির মূল লক্ষ্য হল, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো, শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা এবং প্রসূতি মৃত্যুর হার হ্রাস ইত্যাদি।
তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বাংলাভাষী সংখ্যালঘু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এই নীতি নির্ধারণ করলো বলে মনে হচ্ছে। আসামের জনসংখ্যার বেশিরভাগই প্রতিবেশী দেশের অনুপ্রবেশকারী বলেও মনে করে থাকে বিজেপি সরকার।
Discussion about this post