ছুরিকাঘাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটক দুই ছিনতাইকারী।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দি দেওয়া ছিনতাইকারী হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনাপাড়ার আবুল কালামের ছেলে আবু তাহের (২৮) ও শাহ আলমের ছেলে আবদুল মালেক (২৪)।
এদিকে, এ ঘটনায় আটক দুই জনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলি মজুমদার বিষয়টিনিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজারের জেষ্ঠ্য বিচারক হাকিম শফিউদ্দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত দুই ছিনতাইকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার এসআই মাঈনুদ্দিন জানান, আটক ছিনতাইকারী আবু তাহের ও আবদুল মালেক আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা নিজেরা এবং পলাতক আসামিদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যা করে বলে স্বীকার করে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল রাজিব চাকমা বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। কনস্টেবল রাজিব কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলামের গাড়ি চালক। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাহারছড়া গোলচক্কর এলাকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। নিহত কনস্টেবল পারভেজ হোসেনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী তিনি।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনাটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলা হিসাবে রুজু করা হয়েছে।
Discussion about this post