দুই সন্তান ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনে দল জয় পাওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তাতে কি! সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমনভাবে তার প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করছে মায়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) যে, অং সান সুচিকে কার্যত নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায়ই দেখা যাবে।
অর্ধ শতকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মায়ানমারের প্রথম বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুধবার (৩০ মার্চ) শপথ নেন সুচি’র ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বলে পরিচিত থিন কিয়াও। এর আগে গত সপ্তাহে নতুন মন্ত্রিসভার তালিকা চূড়ান্ত করে দেশটির পার্লামেন্ট। এতে পররাষ্ট্র, প্রেসিডেন্ট কার্যালয়, শিক্ষা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুচিকে।
সরকার নিয়ন্ত্রণে এবার তার জন্য আরো সুযোগ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সদ্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত এনএলডি। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত বিলের একটি খসড়া প্রস্তুতের কাজও শুরু হয়েছে। বিলটি পার্লামেন্টে পাস হলে মায়ানমারে ‘প্রধানমন্ত্রী’র মতো একটি পদ সৃষ্টি হবে, যা বরাদ্দ হবে সুচি’র জন্য।
মনে করা হচ্ছে, নতুন পদটির নাম হতে পারে ‘রাষ্ট্রের উপদেষ্টা’।
নতুন এ পদে অধিষ্ঠিত হলে সরকার নিয়ন্ত্রণে আরো বেশি ক্ষমতা পেয়ে যাবেন সুচি। জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি, প্রেসিডেন্ট হতে না পারলে তার চেয়েও বড় কিছু হয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা ও প্রধানমন্ত্রীর মতো পদ সৃষ্টি করে তাতে আসীন হওয়ার অর্থ একটাই। প্রেসিডেন্ট না হয়েও তিনি প্রেসিডেন্টের মতো করে দেশ পরিচালনা করবেন।
Discussion about this post