বিডি ল নিউজঃ যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরে বিলম্বের দায় সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। বৃহস্পতিবার বিকালে শাহবাগের জাদুঘরে সামনে যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে অবস্থানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইমরান বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য অনুযায়ী রিভিউ খারিজ হওয়ার পর রায় কার্যকরের দায়িত্ব সরকারের। আইন অনুযায়ী যেহেতু জেলকোডের বিধান কামারুজ্জামানের জন্য প্রযোজ্য নয়, সেহেতু তা তার পাওয়ারও অধিকার নেই।
“আইনজীবীদের দেখা করার কাজও শেষ হয়েছে। এখন রায় কার্যকরে বিলম্ব হলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “রায় নিয়ে যে কালক্ষেপণের কারণে বিদেশি সংস্থা ও লবিস্টগুলো নানা রকম বিবৃতি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এর মানে হচ্ছে জামায়াত-শিবিরকে সংগঠিত হয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টির সুযোগ করে দেওয়া।” সরকার জামায়াত-শিবিরের ষড়যন্ত্রে বারবার পা দিচ্ছে মন্তব্য করে ইমরান বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে এই বিচার প্রক্রিয়া চলেছে। নানা সময় নানা অজুহাতে বিচার বিলম্বিত করা হয়েছিল। এখন রায় কার্যকরে বিলম্বের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
“ক্ষমা চাইবে কি চাইবে না তা জানার জন্য আইনজীবীরা দেখা করেছিলেন। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে তার আইনজীবীরা বললেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন কি চাইবেন না তা ভাবছেন। “ক্ষমা চাওয়ার জন্য তো আর অনির্দিষ্টকালের জন্য সময় দেওয়া যাবে না। এটা রায় কার্যকরের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার বিভিন্ন রকম অপচেষ্টারই অংশ।”
এর আগে শাহবাগ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল টিএসসি ঘুরে শাহবাগে পৌঁছে শেষ হয়। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।-বিডিনিউজ২৪
Discussion about this post