তার আইনজীবী সাসিনান থামনিথিনান বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, প্রতিটি অপরাধের জন্য তার ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়। তবে দোষ স্বীকার করায় তার কারাদন্ড ৬০ বছরের স্থলে ৩০ বছর করা হয়। তিনি কারাদণ্ডের কঠিন শর্তের ব্যাপারে বলেন, ‘এটা রেকর্ড ভেঙেছে।’ তিনি বলেন, থাইল্যান্ডে যেহেতু সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে এবং তিনি এই সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন, ফলে তিনি আর সামরিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন না।
২০১৪ সালের মে মাসে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে থাইল্যান্ডের জেনারেলরা ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দণ্ড ব্যাপকভাবে দেয়া হচ্ছে। এ আইনের সমালোচকরা বলেন, আইনটি রাজতন্ত্র ও তাদের সামরিক মিত্রদের রাজনৈতিক শত্রু এবং সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের চিয়াং রাই প্রদেশে একটি সামরিক আদালত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে এক মানসিক রোগীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সামাক পান্টে নামের ওই মানসিক রোগী গত বছরের জুলাই মাসে রাজা ও রাণীর একটি প্রতিকৃতিতে আঘাত করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন।
Discussion about this post