কক্সবাজারের ইনানী-হিমছড়ি পয়েন্টের গভীর সাগর থেকে সাড়ে চার লাখ পিস ইয়াবাসহ একটি ফিশিং ট্রলার জব্দ করেছে র্যাব-৭। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসময় ট্রলারে থাকা মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিকসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে।
এসব ইয়াবা কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছরার আবু বকরের ছেলে সুলতান আহমদের বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আটকরা। পরে সুলতানের বাসা থেকেও ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ এবং তাকেও আটক করা হয়েছে। জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে র্যাব।
আটকরা হলেন- সুলতান আহমেদ (৪০), খাগড়াছড়ির রামগড় মালবাগান এলাকার মিজানুর রহমান (৪৭), লক্ষ্মীপুরের রামগতির সুজনগ্রামের ইঞ্জিন চালক আবদুর রউফ (৪৫), রংপুর মিঠাপুকুর গয়েশপুর এলাকার আবদু রাজ্জাক মিয়া (৫৫), ও মিয়ানমারের নাগরিক উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে বসবাসকারী হাবিবুল্লাহ (৩৭), জাহিদ হোসেন (৩০), আবদুল হামিদ (২০) এবং মংডু মুন্সিপাড়ার জাহাঙ্গীর (১৯) ওসমান গনি (২০)।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প ইনচার্জ মেজর রুহুল আমিন আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, চোরাচালানীদের বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র মাছের ব্যবসার আড়ালে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান দেশে নিয়ে আসছে। শুক্রবারও একটি বড় চালান সমুদ্রপথে দেশে ঢুকছে এমন খবর পেয়ে সাগরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল ৫টায় র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিক দল কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহযোগিতায় গভীর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারটি ধরতে অভিযানে নামে। সন্ধ্যার দিকে এফবি জানিবা খালেদা-১ কে সনাক্ত করে থামতে বললে ট্রলার নিয়ে তারা পালাতে চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে ট্রলারটি ধরে তল্লাশির পর মাছ রাখার প্রকোষ্ঠের ভেতর লুকানো চার লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ ও ট্রলারের ৮ মাঝি-মাল্লাকে আটক করা হয় ।
আটকরা মিয়ানমার থেকে চার লাথ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা স্বীকার করে বলেন, ইয়াবাগুলো কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছরার সুলতান আহমেদের। পরবর্তীতে র্যাব-৭ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে সুলতান আহমেদকে তার বাসা থেকে আটক ও আরও ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।
মেজর রুহুল আমিন জানান, জব্দ করা ৫ লাখ পিস ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post