ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে জাহাজে পণ্য উঠানামাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বড় জাহাজগুলো নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করাসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২০ মে) বিকেল ৪টায় এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্টগ্রামের দিকেই বেশি ঝুঁকে আছে। তাই চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেন চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে আসা মাদার ভ্যাসেলগুলোকে (বড় জাহাজ) নিরাপদ স্থানে অবস্থানের কথা বলা হয়েছে।
লাইটারেজ জাহাজগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে কোন ধরনের চলাচল না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেটিতে অবস্থানরত সকল জাহাজকে জেটি ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিসহ সকল স্থাপনায় স্পর্শকাতর সব যন্ত্রাংশ সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে জাহাজে পণ্য উঠানামাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Discussion about this post