বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বরিশালের জেলা প্রশাসককে (ডিসিকে) তলব করেছেন । আগামী ২১ মার্চ সকালে সশরীরে হাজির হয়ে ডিসিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির একাধিক লিস্টে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হলো তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।</p> এক দশমিক ৭৭ একর সম্পত্তি একাধিক বণ্টনের জন্য কারা দায়ী তাদের তালিকা চেয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ প্রতিপালন না করায় এ আদেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ডিসিকে। একই সঙ্গে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। রুলে একাধিক তালিকায় সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এ আদেশ দেন।</p> আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে করেন অ্যাডভোকেট তপন কুমার দত্ত এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক।</p> নাজমুল হক জানান, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নে এক দশমিক ৭৭ একর জমি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে মালিকানা দাবি করে আইয়ূব আলী তালুকদার ও জাহানারা পারভীন তা অবমুক্ত করেন। এরপর ওই সম্পত্তি ‘খ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এবারও তাদের উদ্যোগে অবমুক্ত হলে পরবর্তীতে ‘ক’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আইয়ূব আলী তালুকদার ও জাহানারা পারভীন হাইকোর্টে রিট করেন।</p> এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জমিগুলো কীভাবে একাধিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো, এর সঙ্গে কারা জড়িত, সেই সব কর্মকর্তার তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেন। ৭ মার্চের মধ্যে এই তালিকা দিতে বলা হয়। এরপর মামলাটি লিস্টে আসলেও কেউ আদালতে আসেনি। আদালতের নির্দেশে বিষয়টি বরিশালের ডিসিকে ফ্যাক্স করে জানিয়েছি।</p> এ অবস্থায় ডিসি বাবুগঞ্জের এসি ল্যান্ডকে লেটার অব অথরিটি, ওকালতনামা এফিডেভিট করে পাঠান। কিন্তু ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যে তালিকা চেয়ে নির্দেশ দেন, সেটা না পাঠানোয় আদালত ডিসিকে তলব করেছেন।</p> প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
Discussion about this post