যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বর্তমান আইনেই বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের জন্য নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন নেই।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী সভায় বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়া। যার প্রমাণ, জিয়াউর রহমান তাঁর শাসনামলে কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী এবং কুখ্যাত রাজাকার আবদুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, ঢাকাতে বসে ষড়যন্ত্র করতে পারছেন না বলে এখন মা-ছেলে মিলে বিলেতে বসে দেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জিয়ার হত্যার বিচার চায়নি। কারণ বিচার করলেই তাদের নিজেদের লোকই দোষী হয়ে পড়বে। তারা চায় হত্যার রাজনীতি চলতে থাকুক। বিএনপি যারা করে, তারা আইনের প্রতি একদমই শ্রদ্ধাশীল না। তারা আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের হাত থেকে শিশুরাও রক্ষা পায়নি।
কসবা উপজেলা সুপার মার্কেট চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম জি হাক্কানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. শাহাবউদ্দিন আহমেদ, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনিছুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া, কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন ইকবাল।
Discussion about this post