অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট জারিতে সরকারকে আবারও দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপীল বেঞ্চ এ সময় মঞ্জুর করেন।
এর আগে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সময় চেয়ে লিখিত আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবু্বে আলম। লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়নে দুই সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করেন আপিল বেঞ্চ। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পরও শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আবারও সময়ের আবেদন জানায়। এ প্রেক্ষিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় দেন আদালত।
সময় চেয়ে লিখিত আবেদনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নাই। আমি আদালতকে বলেছি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আদালত আমাকে লিখিতভাবে উল্লেখ করে দরখাস্ত করতে বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রুলস ফ্রেম করবেন তো রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি একবার অপারগতা প্রকাশ করেছেন বা এটার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন। কাজেই ফের যদি এটা করতেই হয় তাহলে সেটি সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির কাছেই পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো উচিত। সেটিই করা হয়েছে।’
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়নে সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল আপিল বিভাগ।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধি চূড়ান্ত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আপিল বিভাগ এর আগে কয়েক দফায় সেময় দেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় ৮ ডিসেম্বর আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে তলব করে। তবে ১১ ডিসেম্বর রাতে আইন মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রের মাধ্যমে জানায়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধির গেজেট প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
তবে রাষ্ট্রপতির এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ দ্বিমত পোষণ করেন। আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বিধি প্রণয়ন সম্পর্কে আপিল বিভাগ বলেন, এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন। এখানে কোনো কম্প্রোমাইজ নেই।
উল্লেখ্য, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ৭ নম্বর নির্দেশনায় জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জন্য পৃথক শৃঙ্খলা বিধি প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।
Discussion about this post