আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাক্ষ্য গ্রহণসহ অন্যান্য বিচারিক কার্যক্রম সহজ করার লক্ষ্যে প্রণীত নতুন একটি আইনের খসড়ার উপর মতামত জানতে চেয়েছে আইন কমিশন। নতুন এই আইনটির নাম হতে যাচ্ছে ‘সাক্ষ্য ও বিচারিক কার্যক্রম (তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার) আইন, ২০১৭’।
আইন কমিশনের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তার দুটি ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে ‘আইন-আদালত’ সংশ্লিষ্ট সবার সুপারিশ ও মত জানাতে বলেছে কমিশন। আইন কমিশনের যে দুটি ই-মেইল ঠিকানায় মতামত পাঠানো যাবে তা হলো: azimfowzul@yahoo.com, cro@lc.gov.bd
খসড়ায় বলা হয়েছে- আদালতে স্বশরীরে হাজির না হয়েও আদালত কক্ষের বাইরে থেকে কোনো পক্ষ, সাক্ষী, অভিযুক্ত ব্যক্তি বা আইনজীবী অডিও-ভিজ্যুয়াল সংযোগের মাধ্যমে বিচারকাজে অংশ নিতে পারবেন।
ভিডিও কনফারেন্স ও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে এজলাস থেকে দূরে অবস্থান করেও তারা বিচার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
বিচারক বিশেষ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও আইনজীবীদের উপস্থিতি ও সাক্ষ্য নিতে পারবেন।
তবে এ পদ্ধতিতে সাক্ষ্য দিতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে সব পক্ষের টেলিফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং তাদের সনাক্ত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে।
কারাগারে থাকা অভিযুক্ত বা সাক্ষী এ পদ্ধতিতে বিচারকাজে অংশ নিতে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাদের পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দেওয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করেও আবেদন করতে পারবেন।
অডিও-ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সাক্ষীর উপস্থিতি বা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আবেদনের সময় সরকার নির্ধারিত কোর্ট ফি জমা দিতে হবে।
আপাতত দেশে বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে যা কিছু থাকুক না কেন নতুন এই আইনের বিধানগুলো কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে আইন কমিশন।
আইন কমিশনের মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা ফউজুল আজিম গণমাধ্যমকে বলেন, এ আইন দেশে প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডার, সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডার ও বেঙ্গল জেল কোডকে প্রভাবিত না করে বরং পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।
এ পদ্ধতিতে বিচারকাজে অংশ নিতে হলে নিয়ম অনুযায়ী শপথ নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post