সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নিজামুল হকের বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টায় আপিল বিভাগের ২ নং বিচার কক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে- এই অনুচ্ছেদে অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোন বিচারক সাতষট্টি বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। সেই অনুযায়ী ১৪ মার্চ তার সাতষট্টি বছর বয়স পূর্ণ হচ্ছে। ফলে বিচারপতি নিজামুল হকের আজই (১৪ মার্চ) হবে তার শেষ কার্যদিবস।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক
১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ পটুয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি নিজামুল হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৭৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন নিজামুল হক। আইন পেশায় নিয়োজিত থাকাকালে তিনি একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে খ্যাতি পান।
২০০১ সালের ৩ জুলাই দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি নিজামুল হক। কিন্তু দুই বছর পর তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে উচ্চআদালতের রায়ে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান নিজামুল হক। এর এক বছর পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে স্কাইপিতে বেলজিয়াম প্রবাসী এক আইনজীবীর কথোপকথন প্রকাশের পর তিনি ট্রাইব্যুনাল থেকে পদত্যাগ করে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসেন। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে বিচারপতি নিজামুল হককে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান দায়িত্ব পালন করার সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা যান। এবার বিচারপতি নিজামুল হকের অবসরে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা কমে দাঁড়াচ্ছে সাতজন। তারা হলেন- প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
Discussion about this post