বিডি ল নিউজঃ বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে ভারতীয় নারীদের আবেদনময়ী হয়ে ওঠার পরামর্শ দিলেন বলিউড অভিনেত্রী সাবেক কানাডীয় পর্ন স্টার সানি লিওন। যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস-এ ভারতের টাইমস মিডিয়া গ্রুপের পত্রিকা দৈনিক এই সময়ের অন্য সময় বিভাগের বিশেষ প্রতিবেদক সৌম্যদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নারী দিবস উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে আবেদনময়ী হয়ে ওঠার মাধ্যমেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। সাক্ষাৎকারটি বিডি ল নিউজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
অন্য সময়: ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণ করার জন্যই এই দেশে আপনার আসা৷ সেখান থেকে বলিউডে প্রবেশ৷ তারপর অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে৷ এখন আপনি একজন বলিউড স্টার৷ নিজের এই ‘জার্নি’টা কেমন লাগে?
সানি: খুব অদ্ভুত, খুব মজার৷ কিন্তু সব মিলিয়ে আমি এই ‘জার্নি’টা দুর্দান্ত উপভোগ করলাম৷ প্রচুর চড়াই ভেঙে উঠেছি, কিছু কিছু উতরাইও গিয়েছে, কিন্তু সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করা উচিত৷
অন্য সময়: একজন মহিলা হিসেবে লড়াইটা সব সময়ই কঠিন৷ সানি লিওন হিসেবে লড়াইটা তো আরও কঠিন৷ আমেরিকায় আপনার বন্ধুরা যখন শোনেন, আপনি ভারতে বিরাট স্টার হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা কী বলেন? কীভাবে দেখেন গোটা ব্যাপারটা?
সানি: আমার মনে হয় না, এখানে আমার অবস্থানটা ঠিক কেমন, আমি এখানে কে, ওরা তা খুব ভালো বুঝতে পারে৷ ওরা এই পাগলামিটা কখনও দেখেইনি৷ তাতে একটা সুবিধাই হয়েছে৷ আমি যখন বাড়ি ফিরি, শুধুমাত্র সানি হয়েই ফিরতে পারি৷ আর ‘কেউ না’ হিসেবে জীবনটা উপভোগ করতে পারি৷
অন্য সময়: আপনি এখনও নিজের সময় ভাগাভাগি করে চলেছেন লস এঞ্জেলস আর মুম্বাইয়ের মধ্যে৷ এমন কোনও সম্ভাবনা আছে, একটার জন্য অন্যটাকে ছাড়তে হলো?
সানি: কখনও নয়৷
অন্য সময়: মুম্বাইতে সম্প্রতি কয়েক জন কমেডিয়ান বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন ‘এআইবি রোস্ট’ হোস্ট করার জন্য৷ শো-এর গোড়ায় যৌন আবেদনমূলক বেশ কিছু ঠাট্টা করা হয়েছিল৷ এআইবি রোস্ট-এর মতো ঘটনা সম্পর্কে আপনার কী মনে হয়?
সানি: দেখুন, আমি আমেরিকা থেকে এসেছি৷ যেখানে এ ধরণের জিনিস নিয়ে কোনও ছুঁতমার্গ নেই৷ প্রায় সব কিছুকেই খোলা মনে গ্রহণ করা হয়৷ তাই আমি একেবারেই ‘শক’ পাইনি৷ কিন্তু আমার মনে হয়, অনেকেই পেয়েছেন৷ কারণ ভারতের মূল্যবোধগুলো একটু অন্য ধরণের৷ এবং অনেকেই সেগুলোর কথা বলতে পারেন৷ তাই এই ধরণের শো থেকে কয়েক লাখ মানুষ যেভাবে আনন্দ পাবেন, কয়েক লাখ মানুষ আবার সেভাবে দুঃখও পাবেন৷ বাক-স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে যদি কথা বলি, এই দামটা আপনাকে দিতেই হবে৷ যদি একেবারে অন্য ধরণের কিছু করতে চান, তাহলে এই ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ জিনিসগুলোও তার পিছন পিছন আসবে, যা আপনাকে গ্রহণ করতেই হবে৷ একদিন নয়, আমি রোজ কিছু মানুষের জন্য, আর কিছু মানুষের দ্বারা ‘রোস্টেড’ হই, তাই আমি একেবারেই আঘাত পাইনি৷
অন্য সময়: অনেকেই মনে করেন, একজন মানুষ কতোটা ‘আবেদনময়ী’ হবেন, তা তাঁর জিনের মধ্যে থাকে৷ কিন্তু আমরা অনেকেই আবার জানি, ‘আবেদনময়ী’ হওয়াটা একটা ফুলটাইম কাজও হতে পারে৷ কী বলেন আপনি এ ব্যাপারে?
সানি: আমার তো মনে হয়, যে ফ্যাশনই আপনার জন্য আদর্শ হোক না কেন, ‘আবেদনময়ী’ হওয়াটা সব সময়ই ভালো৷ সত্যি বলতে, এর একটা অন্য দিকও আছে৷ যখন কেউ আপনাকে চেপে দেওয়ার জন্য জোর খাটায়, আপনার তো উচিত, উঠে দাঁড়ানোই৷ আবার নতুন করে লড়াই শুরু করার৷ তা করতে যদি আপনার ভয় লাগে, তাও আপনাকে এটা করতেই হবে৷ একমাত্র আপনিই ঠিক করতে পারেন আপনার সাফল্যের মাপকাঠি, তার সীমারেখা৷ আর সেটাই আপনার ‘আবেদনময়ী’ হয়ে ওঠা৷ বলতে পারেন ভারতীয় নারীদের প্রতি এটাই আমার ‘বিশ্ব নারী দিবস’ এর বার্তা!
Discussion about this post