সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সমালোচনার মধ্যেই ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৬’ কার্যকর করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক আদেশে গত ৬ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম স্বাক্ষরিত আদেশটি গত ২৩ নভেম্বর জারি করা হয়। একদিন পরেই (২৪ নভেম্বর) এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
মন্ত্রিসভার অনুমোদন ও জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার পর গত ১৩ অক্টোবর ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৬’ চূড়ান্ত করে সরকার।
সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধিরা বলছেন, এ আইনটির ১৪ নম্বর ধারা বাক-স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এজন্য তারা এ আইনটি বাতিলের দাবি করে আসছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ (আসক) ১৮টি বেসরকারি সংস্থা আইনটিতে সম্মতি না দিতে রাষ্ট্রপতির প্রতিও আহ্বান জানিয়েছিল।
আইনের ১৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- ‘কোন এনজিও বা ব্যক্তি এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত কোন বিধি বা আদেশের বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন এবং সংবিধান এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক ও অশালীন কোন মন্তব্য করিলে বা রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড করিলে বা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা সহায়তা করিলে অথবা নারী ও শিশু পাচার বা মাদক ও অস্ত্র পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকিলে উহা দেশে প্রচলিত আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।’
Discussion about this post