বৈশ্বিক লিঙ্গসমতার সূচকের তালিকা প্রকাশ করেছে শিশু অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১তম। আর তালিকায় কাজাখস্তান ও আলজেরিয়ার চেয়েও নিচে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ দেশ সুইডেন।
সেভ দ্য চিলড্রেনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস সামনে রেখে সেভ দ্য চিলড্রেন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোতে কন্যাশিশুরা অল্প কিছু সুযোগ পায়। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলো এ ক্ষেত্রে বিশ্ববাসীকে হতাশ করেছে। নারীর সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ সূচকের দেশ হলো নাইজার।
১৪৪ দেশের মধ্যে ১১১তম হওয়ায় বৈশ্বিক লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিম্নস্তরের দেশ হিসেবে গণ্য হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। এখানে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ৬০তম, ভুটান ৮০তম, নেপাল ৮৫তম, পাকিস্তান ৮৮তম এবং ভারত ৯০তম স্থানে আছে।
পার্লামেন্টে কম নারী সদস্য থাকা, কিশোরী বয়সে গর্ভধারণের হার এবং মাতৃমৃত্যুর হারের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ৩২তম স্থানে আছে। এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে দেশটিতে প্রতি লাখে ১৪ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ পরিসংখ্যান উরুগুয়ে ও লেবাননের সমান।
সেভ দ্য চিলড্রেনের ইনক্লুশন ডেভেলপমেন্টের প্রধান লিসা ওয়াইজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন র্যাঙ্কিং বিস্ময়কর। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে দেশটিকে আরও উন্নতি করতে হবে। লিঙ্গসমতা সূচক ইস্যুতে উন্নয়নশীল দেশগুলো অনন্য নয়। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে ছেলেদের সঙ্গে তুলনার ক্ষেত্রে নারীরা অনেক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।’ লিসা ওয়াইজ এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।
১৪৪ দেশের তালিকা সূচকের সর্বনিম্ন স্থানে আছে আফ্রিকা মহাদেশের চাদ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি ও সোমালিয়ার মতো দেশগুলো।
বৈশ্বিক লিঙ্গসমতার সূচকে বিশ্বের সেরা বা শীর্ষ দেশ হলো সুইডেন। এর পরেই যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম। যুক্তরাজ্যের অবস্থান ১৫ নম্বরে।
Discussion about this post