ভূরি ভূরি পুলিশ আছে। সেই পুলিশের ভুঁড়িও আছে। চোরও পালায়, ভুঁড়িও বাড়ে, পুলিশ বেচারা হাঁপিয়ে মরে। কিন্তু পুলিশের কেন ভুঁড়ি থাকবে? রাজ্যের ভুঁড়িধারী পুলিশদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গাদা গাদা।
এবার তা রুখতেই আসরে নামল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিসের শারীরিক সক্ষমতাকে ঠিক রাখতে একটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হল। ভুঁড়িধারী পুলিশ কীভাবে অপরাধীদের ধাওয়া করবে? পুলিশের কেনইবা ভুঁড়ি থাকবে? এই প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফে সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে একটি হলফনামা পেশ করা হয়। যা দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ আদালত।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্র ও বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, আদালত যে সব প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিল, সেগুলি মেলেনি। আদালত সূত্রের খবর, যিনি হলফনামা দিয়েছেন, তিনি নিজেকে নবান্নের ডেপুটি সেক্রেটারি বলেছেন। কিন্তু কোন পদে রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু লেখেননি। সমস্যাটা সেখানেই। আদালতের বক্তব্য, পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে গাইডলাইন তৈরি করতে হলে, এই পদমর্যাদার আধিকারিকের কাছ থেকে হলফনামা নিয়ে কোনও লাভ নেই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে গাইডলাইনটা ঠিক কীরকম হবে?
আদালতের প্রশ্ন, পুলিশের নিয়মিত শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয় কি? অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নির্ধারিত সময় অন্তর হয় কি? তাঁদের অস্ত্র চালনার সক্ষমতা কোন পর্যায়ে রয়েছে?
স্বরাষ্ট্রসচিবকে এবিষয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।এছাড়া ওই একই সময়ের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছেও পৃথক হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
দেখা যাক, এসবের চক্করে এবার ভুঁড়িধারী পুলিশরা মেদ ঝরাতে কিছুটা কসরত করেন কিনা? খবর ইন্ডিয়া ডটকমের
Discussion about this post