মেহেদী হাসান সোহাগ(মাদারীপুর): মাদারীপুর সদর মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় নবম শ্রেনীর ছাত্রদের একাধীক শিক্ষক বেত্রাঘাত করে এতে গুরুত্ব আহত হয় দুই জন রাশিদুল(১৪),আর একজনের নাম জানা যায়নী। শনিবার মস্তফাপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনায় আহত রাশিদুল,৯ম শ্রেণির ছাত্র। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
রাশিদুল ইসলামের বাবা আব্দুর রহমান জানান, শনিবার বিদ্যালয় নিজ ক্লাসে অনেক ছাত্ররাই দুষ্টামি করছে কিন্তু আমার ছেলেকে এক টির্চার বিচার করে যাওয়ার পরও আবার আর একজন সহকারী শিক্ষক মিজান খান তার নির্দয়ভাবে বেত্রঘাত করে এবং আমাকে সংবাদ দিলে আমি গিয়ে শিক্ষকদের কাছ দুষ্টামির কথা শুনে লজ্জায় নিজের ছেলেকে শাসন করেছি।
রাশিদুল বলেন শুধু আমি দুষ্টামি করিনাই অনেকেই করেছে আমার বসে থাকা টেবিলটি পড়ে গিয়ে বিকট শব্দ হয় এতে আমাকেই দোষী করে সুমন স্যার আমাদের শাসন করে যায় তারপর মিজান স্যার এসে আমকে নির্দয়ভাবে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং শার্টের কলার ধরে ২তলা থেকে টেনে প্রধান শিক্ষকের রুমে নিয়ে আবারও আমাকে নির্দয়ভাবে বেত্রঘাত করে আমি পা ধরে মাফ চাই তারপরও আমকে আরও পিঠায় এবং আমার বাবাকে এনে আমাকে আবারও বাবাকে দিয়ে জুতা দিয়ে পিটানো হয়। আমি জানী আমার বাবা অনেক কষ্টে আমাকে জুতা দিয়ে মেরেছে। আমি শরিরের বেথায় রাতে ঘুমাতে পারিনী এবং অনেক জ্বরও আসে দুইদিন আমি বাসা থেকে বের হতে পারিনী।
এদিকে এ ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ ৯ম শ্রেনীর ছাত্ররা ওই বিদ্যালয় ক্লাস বর্জন করে দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরে প্রধান শিক্ষক অভিবাবকদের রবিবার ডাকার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রবিবার মিটিং ডাকলে সেখানে সব অভিবাবক যোগ দেননী। এদিকে মিটিংয়ে সাবার সম্মুখে ছাত্রদের সন্ত্রাসী, নিশাখোর, জারজ বলে অকদ্য ভাষায় গালিগালাছ করে ম্যানেজী কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকরা।
এ ব্যপারে নবম শ্রেনীর ছাত্র নাঈম হাওলাদার বলেন আমাকে সাবার সামনে বসে একটু হেসেছি তাই জারজ বলে গালি দেয় ও অন্যন্য ছাত্রদের সন্ত্রাসি, নিশাখোর বলেন। আমরা এর কোন প্রতিবাদ করি নাই। তবে আমকে জারজ বলে গালি না দিয়ে যদি অন্য যেকোন শাস্তি দিতো তাহলে আমি কোন কষ্ট পেতাম না। আমি জারজ বলার বিচার চাই
এব্যপারে নাঈমের মা ও বড়ভাই সোহাগ বলেন নাঈকে জারজ কেন বলছে, তার কি বাবা মা নেই। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মিজান খান তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবং তিনি আরও বলেন এরকম কোন ঘটনা বিদ্যালয়ে হয়নী।
মস্তফাপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.বোরহান খানকে ফোন করলে সে ফোন রিসিভ করেনী।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী আ.রব খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার জানা মতে স্কুলে বহিরাগত কিছু লোকজন স্কুলে ঢুকে স্কুল রুমে ভাংচুর করতে থাকে তখন ছাত্রদের নিয়ে শিক্ষকরা তাদের বের করে দেয় । আর মিটিংয়ে বলা হয়েছে যারা নিশাখোর গাজাখোর তাদেরকে স্কুল থেকে টিসি দেয়া হবে। আর কাউকে জরাজ বলা হয়নাই তবে যারা জারজ তারাতো জারজ আর যারা ভালো তারাতো ভালো। স্কুলের শিক্ষকদের বেত্রঘাতে কেউ যে অসুস্থত হয়েছে তাতো আমকে কেউ জানায়নী।
Discussion about this post