মিজোরাম পুলিশের সন্দেহ, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়ে থাকতে পারে।
রাজ্যের সেরচিপ জেলার কেতুম ও খলেলুঙ গ্রামে আসাম রাইফেলসের সদস্যরা শুক্রবার ভোরে এক অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
এ সময় মিনচুঙ্গা (৫৫) ও ভেনপুইলালা (৩০) নামে দুই মিজো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের ঊর্ধ্বতন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলার পুলিশ প্রধান লালরিংডিকা।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ওই দুটি গ্রাম মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি একে-৪৭, তিনটি একে-৫৬ রাইফেলের পাশাপাশি একে সিরিজ রাইফেলের ১২টি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা লালরিংডিকা বলেন, “অস্ত্রগুলো প্রতিবেশী বাংলাদেশে নেওয়া হচ্ছিল।”
গত ছয় মাসের মধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী আসাম রাইফেলসের হাতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা। এর আগে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রাজ্যের চাম্পাই জেলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আটটি এম৪ রাইফেল উদ্ধার করে তারা।
আসাম রাইফেলস নামে ভারতের এই সীমান্তরক্ষী বাহিনী মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা দেশটির এক হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত।
২০১৪ সালের মার্চে মিজোরামের রাজধানী আইজলের কাছের একটি গেস্ট হাউজ থেকে ৩১টি রাইফেল, একটি হালকা বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে আসাম রাইফেলস।
এছাড়া ২০১৪ সালের অগাস্টে দেশটির আরেক সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ চোরাকারবারীদের কাছ থেকে আটটি একে সিরিজের রাইফেল উদ্ধার করে।
ওই সময় স্থানীয় তিন চাকমার সঙ্গে দুই বাংলাদেশি চাকমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এভাবে মিয়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে এসব অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের মধ্যে বিবাদমান দুটি পক্ষ ইউপিডিএফ ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যদের কাছে যায় বলে ধারণা করা হয়।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের চোরাই বাজার থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও অনেক বিদ্রোহী রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর পাশাপাশি বাংলাদেশি ধর্মীয় জঙ্গিরা এসব অস্ত্র পেয়ে থাকে বলে সন্দেহ।
Discussion about this post