বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সরকারি বাড়ি বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত ১৫টি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রাজউক কর্মকর্তার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
রাজউকের তৎকালীন কর্মকর্তা কাজী রিয়াজুল মনিরের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই মামলাগুলো করা হয়েছিল। মামলাগুলো বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। তবে হাইকোর্টের রুলসহ স্থগিতাদেশ থাকায় বিচারিক আদালতে মামলাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজকে রুল খারিজ করে দেওয়ায় মামলা চলতে বাধা থাকল না।
আইনজীবী জানান, চারদলীয় জোট সরকারের সময় এ বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়। মির্জা আব্বাস সে সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, সরকারি ১৮টি পরিত্যক্ত বাড়ি সাজানো দরপত্র ডেকে অস্বাভাবিক কম দামে বিক্রির অভিযোগে ২০০৭ সালের মার্চে প্রাক্তন মন্ত্রী মির্জা আব্বাসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাজানো দরপত্রের মাধ্যমে এবং প্রকৃত দামের চেয়ে কম দাম দেখিয়ে ১৮টি সরকারি বাড়ি বিক্রি করে আসামিরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১২৭ কোটি ৬৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অভিযোগপত্রে আরও ১৪ আসামির নাম যুক্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে সুবিধা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়।
Discussion about this post