দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে ২২ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। এটা রানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রথম রায়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ মে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, তার স্ত্রী এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির দায়দেনা ও আয়ের যাবতীয় সম্পদের বিবরণীয় দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক। নোটিশ জারির আগে থেকে রানা কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তার নামীয় নোটিশ জারি হয়নি। পরে দুদক কারাগারে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৫ সালের ১ এপ্রিল সোহেল রানা নামীয় ইস্যুকৃত সম্পদ বিবরণীর নোটিশ বিশেষ বাহকের মাধ্যমে কাশিমপুর কারাগারে পাঠায় দুদক। ২ এপ্রিল জেল সুপার নোটিশটি সোহেল রানার কাছে পাঠান। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সোহেল রানা সম্পদের হিসাব বিবরণী ফরমে কোনো তথ্য না দিয়ে তা খালি পাঠান। এ ঘটনায় ২০ মে দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম রমনা থানায় রানাকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন,২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৭ সালের ২৩ মার্চ সোহেল রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ৯ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৮ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
Discussion about this post