কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ইং শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে সাক্ষাৎকার পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ভর্তিচ্ছুরা র্যাগিং এর শিকার হচ্ছেন।এতে চরমভাবে বিব্রত হচ্ছেন অভিভাবকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ। ভর্তিচ্ছুদের সাথে আসা অভিভাবকদের সামনে থেকে ডেকে নিয়েও র্যাগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। র্যাগিং এর প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত দুইজন সাংবাদিককেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারের শেষ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয় বাংলা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী নুরুদ্দিন রাসেল, মোঃ আলিম, আহাদ, নুসরাত জাহান শিপাসহ তার বন্ধুরা। এই সময় র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় এবং ছবি তুলতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিক নাজমুল সবুজ এবং তানভীর সাবিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে র্যাগিং এর ছবি জমা দেয়ার কথা বললে র্যাগিংকারীরা প্রক্টরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড.মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনা প্রকট আকার ধারণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোহাম্মদ আইনুল হক রাসেলসহ অভিযুক্তদের প্রক্টক অফিসে ডাকেন। তারা র্যাগ দিয়েছে এবং সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেছে বলে স্বীকার করে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় সাংবাদিকদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, ‘র্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিপূর্বেও কঠোর ছিল। এখনও আছে। যারা র্যাগিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আমরা এ বিষয়টি কঠোরভাবে দেখব এবং অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করবো।’
Discussion about this post