ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১২ লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে হিরণ সিকদার (২৮) নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। তার পড়ার পেছনে হাত থাকতে পারে সন্দেহে ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে আটক করেছে বরিশাল নৌ পুলিশ।
শনিবার (২০ আগস্ট) দিনগত রাত ২টার দিকে বরিশালের হিজলা উপজেলার কালিগঞ্জ মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যুবক বরিশাল নগরের বাজার রোড এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহ আলম সিকদারের ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বরিশাল নগরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম নয়ন (২৯), ছয় নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ সুজন (২৯) ও ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজুল ইসলাম (২৮)।
বরিশাল নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে আটক তিনজনের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে হিরণসহ চার বন্ধু মিলে ওই লঞ্চের ২০৯ নম্বর কেবিনে করে বরিশালে আসছিলেন। রাত ২টার দিকে কোনো একটি বিষয় নিয়ে নয়নের সঙ্গে হিরণের মনোমালিন্য হয়। এরপর হিরণ কেবিন থেকে বের হয়ে লঞ্চের তৃতীয় তলায় যান। নয়ন এসময় হিরণের কাছে গিয়ে তার মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন। নয়ন ব্যর্থ হয়ে নিচে নেমে অপর দুই বন্ধুকে নিয়ে হিরণকে বোঝাতে আবার তৃতীয় তলায় যান। এসময় তাদের দেখে বারান্দা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন হিরণ।
লঞ্চের সিসি টিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে পারাবত-১২ এর সুপারভাইজার মোখলেছুর রহমানও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে নয়নের দাবি, কোনো একটি বিষয় নিয়ে লঞ্চের এক যাত্রীর সঙ্গে হিরণের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তিনি কেবিনে থাকা সুজন ও রিয়াজুলকে ডাকতে গেলে হিরণ লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাপ দেন।
তবে বরিশাল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. শফিক বলেন, হিরণের সঙ্গে থাকা তিনজনই প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে। এখানে নারী ঘটিত বা অন্য কোনো বিষয় থাকতে পারে। তাই ওই তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
Discussion about this post