আদালত নিয়ে মন্তব্য করে অবমাননার দায়ে দণ্ডিত দুই মন্ত্রী তাদের ‘সংবিধান রক্ষার শপথ ভেঙেছেন’ বলে সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে আসার পর তারা ‘কোন কর্তৃত্ববলে’ পদে রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে উকিল নোটিস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
আজ শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দুই মন্ত্রীর কার্যালয়ে তার ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে হাই কোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিসে জানিয়েছেন ইউনুছ আলী।
ইউনুছ আলী আকন্দ, “একজন মন্ত্রী পদে থাকেন তার নেওয়ার শপথের মাধ্যমে। শপথ না থাকলে মন্ত্রিত্বও থাকে না। তাই শপথ ভেঙেছেন বলে আপিল বিভাগ থেকে রায় আসার পর তারা আর পদে থাকতে পারেন না। এরপরও পদ আঁকড়ে থাকায় কোন কর্তৃত্ববলে তারা পদে রয়েছেন-তা জানাতে নোটিস দেওয়া হয়েছে।”
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য দুই মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ গত ২৭ মার্চ রায় দেয়। সেই রায় বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, “সংবিধানে বর্ণিত আইনের শাসন রক্ষার যে শপথ বিবাদীরা নিয়েছেন, সেই দায়িত্বের প্রতি তারা অবহেলা করেছেন।
“তারা আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং সংবিধান রক্ষা ও সংরক্ষণে তাদের শপথ ভঙ্গ করেছেন।”
আদালতের রায়ে শপথ ভঙ্গ হওয়ায় দুই মন্ত্রী পদে থাকার অধিকার হারিয়েছেন বলে ইতোমধ্যে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক।
এ বিষয়ে মন্ত্রী কামরুলের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও মোজাম্মেল শনিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ‘জেনেশুনে’ সংবিধান লঙ্ঘন করেননি।
Discussion about this post