সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন সেলিনা বেগমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য দেন।
লিখিত উত্তরে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ২ জন সচিব, ১৭ জন অতিরিক্ত সচিব, ৭২ জন যুগ্মসচিব, ৪৫ উপসচিব, ৩৫ জন সিনিয়র সচিব ১৬ জন সহকারী সচিব ওএসডি হিসেবে কর্মরত আছেন।
তবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে সংসদেও কয়েকজন সংসদ সদস্য দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও রাজধানীর শাহবাগে কয়েক দফায় চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থায় সর্বমোট ৩ লাখ ২ হাজার ৯০৪টি (৩,০২,৯০৪) পদ শূন্য ছিল। এর মধ্যে ৯ম তদূর্ধ্ব গ্রেড (১ম শ্রেণি) ৩৯ হাজার ৫৬৪টি, ১০-১২ গ্রেড (২য় শ্রেণি) ৩০ হাজার ৪২২টি, ১৩-১৭ গ্রেড (৩য় শ্রেণি) ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪১৭টি এবং ১৮-২০ গ্রেড (৪র্থ শ্রেণি) ৬৯ হাজার ৫০১টি পদ খালি আছে।
২০১৫ সালের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম চলামান রয়েছে। হালনাগাদকৃত তথ্য সংসদকে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও সংসদে জানান মন্ত্রী।
Discussion about this post