গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনায় বিচারিক প্রতিবেদনের ওপর রায় ৭ ফেব্রুয়ারি দেয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি আজকে হাইকোর্টে দাখিল হয়েছে। ৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে রয়েছে এক হাজার এক পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র। সেখানে এ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল পক্ষকে (মিল কর্তৃপক্ষ, আসক, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, এমনকি বেঞ্চের দ্বিতীয় বিচারপতি) সরবরাহ না করার কারণে আদালত সেটি প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন’।
‘প্রতিবেদনটি সকল পক্ষকে সরবরাহ না করার কারণে আদালত আগামী ০৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পেপারবুক সেকশনকে সরববরাহের নির্দেশ দিয়েছেন। আর ০৭ ফেব্রুয়ারি এটি যথারীতি আসবে’।
মোতাহার হোসেন বলেন, ‘একনজরে প্রতিবেদনের মতামত অংশে আমরা যেটি দেখেছি, সেখানে দেখা যাচ্ছে, আগুন লাগানোর ঘটনায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং দু’জন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি সদস্য সম্পৃক্ত ছিলেন’।
‘তবে প্রতিবেদনে তাদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কারণ, তারা হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন। এমনকি ভিডিওটি অনেক দূর থেকে ধারণ করা। এ কারণে তদন্ত কমিটি এটি ডিটেক্ট (নাম শনাক্ত) করতে পারেননি। এমনকি ওইদিন যারা ডিউটি করেছেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদেও নাম শনাক্ত করতে পারেননি’।
আগুন দেওয়ার ঘটনার দিন কারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই দিন যারা কর্মরত ছিলেন, তাদের তালিকা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে কমিটির পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছিলো। ওই ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি যেহেতু এর মধ্যে কাজ করছেন, ওই তালিকা সেখানে সরবরাহের কারণে এখানে তা করতে পারেননি এসপি’।
এর আগে রবিবার হাইকোর্টের নির্দেশে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহর তদন্ত প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা হয়।
Discussion about this post