সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যা চেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এএম রেজাউস সাত্তার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টায় সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরুর আদালতে মামলার একমাত্র আসামি বদরুলকে হাজির করা হয়। অধ্যাপক ডা. এএম রেজাউস সাত্তারের সাক্ষ্যগ্রহণের পর নার্গিসকে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেওয়াতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এ নিয়ে তিন কার্যদিবসে মামলাটির মোট ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
আদালত থেকে বের হয়ে চিকিৎসক এএম রেজাউস সাত্তার বলেন, ‘খাদিজা আক্তার নার্গিসকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসা দিয়ে তাকে সারিয়ে তুলেছি। এখন তার অবস্থা অনেক ভালো’।
গত ১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দেন নার্গিসের মা-বাবা, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৫ জন। গত ০৫ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সাক্ষ্য দেন অন্য ১৭ জন সাক্ষী।
গত ০৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসএমপি’র শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ। ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণের পর ২৯ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
গত ০৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিস এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর তাকে ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন বখাটে বদরুল। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক।
এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
Discussion about this post