সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসবে ভবিষ্যতের উকিল, ব্যারিস্টার বা হয়তো নিজ নিজ দেশের আইনমন্ত্রীও, এভাবেই শিক্ষার্থীদের সম্বোধন করলেন চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী।
রোববার (২ও নভেম্বর) বিকেলে সিআইইউ’র মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রমের সমাপনী দিনে নেপাল এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য দেওয়ার সময় একথা বলেন তিনি।
সি আই ইউ’র আইন অনুষদ এবং নেপালের কাঠমান্ডু স্কুল অব ল’ (কেএসএল)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপি এই আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে নেপালের ২৩ জন শিক্ষার্থী, ৩জন শিক্ষক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের ৩২জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত ১৬ নভেম্বর এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ জুডিয়াল সার্ভিস কমিশনের সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, সিআইইউর ব্যবসায় অনুষদের ডিন ড. নুরুল আবসার নাহিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রশিদ এ চৌধুরী, কাঠমান্ডু স্কুল অব ল’র (কেএসএল) শিক্ষক সুরাজ বাসনাত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বিনিময় কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী আইনের শিক্ষার্থীরা উভয় দেশের আইনগত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে শিখতে পেরেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই অভিজ্ঞতা তাদের কর্মক্ষেত্রে কাজে আসবে। নেপালের সাথে এধরনের কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সাবেক সদস্য ও চবি আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি রক্ষার্থে গঠিত আঞ্চলিক সংগঠনগুলো কার্যকর না হওয়ার পেছনে আমরা রাজনীতিবিদদের দায়ী করলেও এক্ষেত্রে শিক্ষকদের দায়ও কম না।
কারণ আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি। সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশ^বিদ্যালয়গুলো যদি পরস্পরের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে তাদের শিক্ষার্থীদের অন্য দেশের প্রতি সহমর্মিতার শিক্ষা দিত, তাহলে এসব শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে নেতৃত্বে এসে নিজ দেশ ছাড়া অন্য দেশের কথাও ভাবত এবং সার্ককে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে পারত।
তিনি বলেন, মানবতার কোন সীমানা প্রাচীর নেই। সিআইইউ’র এই আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে নেতৃত্বে এসে নিজ দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের কথাও ভাববে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে ব্যবসায় অনুষদের ডিন ড. নুরুল আবসার নাহিদ বলেন, বিশ^ায়নের এই যুগে প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয়েরই উচিৎ এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা। এভাবে জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে প্রত্যেকেই লাভবান হতে পারেন।
কেএসএল’র শিক্ষক সুরাজ বাসনাত সিআইইউ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে নেপালের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আইনগত পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারিক ধারণা লাভ করেছে। তিনি সিআইইউ’র আইন অনুষদের সাথে ভবিষ্যতে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা সাময়িকি প্রকাশের আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে নেপালের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বিষ্ণু এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সিআইইউ’র আইন বিভাগের ছাত্র ফাহিম ফয়সাল আবিদ বক্তব্য রাখেন।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার নাহিদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিআইইউ’র মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ড. মাহমুদ হাসান, আইন বিভাগের শিক্ষক ও অনুষ্ঠানটির সমম্বয়ক বাদশা মিয়া, কেএসএল-এর শিক্ষক যথাক্রমে ব্রিট্যান্ট খানাল ও জ্ঞানু গৌতম, গ্রন্থগারিক ড. মো. জিল্লুর রহামান, প্রশাসন বিভাগের সহকারী পরিচালক কুমার দোয়েল দে প্রমুখ উপস্থিথ ছিলেন।
Discussion about this post