কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলার ৩ সাক্ষীর রিমান্ড আবেদন করেছে র্যাব। তিন আসামি হলেন-নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আয়াদ।
আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) র্যাব-১৫ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। র্যাব হেফাজতে নেয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিনহা হত্যায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখানো হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পরে বেলা সোয়া চারটায় তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানায় র্যাব। সিনহার হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলার তদন্তভার ইতিমধ্যে র্যাবকে দেয়া হয়েছে। এত দিন মামলা দুটির তদন্ত পুলিশ করছিল।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।
৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকালে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ ৭ পুলিশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই আদালত র্যাবের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অপর চার আসামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এসআই লিটনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এ মামলার অপর দুই আসামি এসআই টুটুল ও মো. মোস্তফা আদালতে হাজির হননি। পুলিশের দাবি, এই নামে জেলা পুলিশে কেউ নেই। তবে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
Discussion about this post