বিশেষ প্রতিবেদনঃ এম এম আদালতে ঈদের আগের দুই দিনে ৮০০ মামলার জামিন প্রসঙ্গে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল,অনলাইন নিউজ পোর্টাল,এবং সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হয়েছে ঢাকা সি এম এম আদালতে ঈদের আগের দুদিন ৮০০ মামলায় আসামীদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে জামিন দিলে সাংবাদিকদের অসুবিধাটা কোথায়? জামিন দেওয়ার এখতিয়ার তো ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবদের আছে তাই না? সাংবাদিকদের কাজ সত্য তথ্য সমাজের সামনে তুলে ধরা। কিন্তু কিছু সাংবাদিক বা মিডিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। এক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটেছে।
প্রকৃত ঘটনাঃ
প্রকৃত সত্য হল ১৯/৮/১৮ ইং তারিখ জামিনের সংখ্যা ১৯৯টি এবং ২০/৮/১৮ ইং তারিখ তা বেড়ে হয় ২৪৯টি । মোট জামিনের সংখ্যা ৪৪৮টি। যা খুব স্বাভাবিক। ঢাকা এম এম কোর্ট মোট ৩৫টি কোর্ট । ৩৫টি কোর্ট প্রতিদিন ৬.৪টি মামলার জামিন দিলে দুই দিনে হয় ৪৪৮টি।
ঈদের আগে আইনজীবীদের প্রত্যাশার চেয়ে জামিনের পরিমান খুব একটা বেশী নয়। গত ঈদে পূর্বে মোট ৯৫০টির অধিক মামলায় জামিন দেয়া হয় যা বর্তমান এর দিগুন। তখন কিন্তু কোনো সাংবাদিকগন কোনো প্রতিবেদন করেননি।
মূল বিষয়টি হচ্ছে বর্তমান সি এম এম সাহেব অত্যন্ত সৎ মানুষ। বর্তমান সি এম এম মহোদয় যোগদান করার পর তদবির, সিন্ডিকেট ও ঘুষ বানিজ্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
৮০০ জামিনের এই সংবাদটি উদ্দেশ্য প্রণেদিত। বিচার বিভাগকে খাটো করাই ছিল মূল লক্ষ্য। তাছাড়া কিছু আইনজীবী আইন পেশার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন। তাদের মামলায় জামিন না দিলেও এরকম নিউজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয় যা আমরা অতীতেও দেখেছি।
উল্লেখ্য যে, সপ্তাহের শুরু থেকেই ঈদের অাগে দুই দিনে ৮০০ মামলার জামিন প্রসঙ্গে মিডিয়া তোলপাড় হয়ে উঠে। এ প্রসঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১০ ঘণ্টায় ৮০০ জনের জামিন-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আমি দেখেছি। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে একটি নিউজ চ্যানেলে ১০ ঘণ্টায় ৮০০ জনের জামিন-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি নজরে আনলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
কিন্তু মূলত প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন। হলুদ সাংবাদিকতা নির্মূল হোক গণমাধ্যম থেকে।
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
অাব্দুর রব খান পল্লব, কার্যকরী সদস্য, ঢাকা বার এসোসিয়েশন (২০১৮-১৯)
Discussion about this post