বাংলাদেশের কাছে বহু প্রতীক্ষিত সীমান্ত বিল ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভা ও নিম্ন কক্ষ লোকসভায় গত সপ্তাহে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির আনা এই বিলে সমর্থন জানায় বিরোধী দল কংগ্রেসও।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় বিল পাসের পরপরই শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে খবরটি জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। পরদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় শেখ হাসিনার।
গাজীপুরের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় তিনি কংগ্রেস চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীকেও টেলিফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও টেলিফোনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের কথা জানান শেখ হাসিনা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের মধ্যে ছিটমহলের পাশাপাশি ভূমির বিরোধও রয়েছে। ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী ছিটমহল বিনিময় ও অপদখলীয় ভূমির বিরোধ অবসানে বাংলাদেশের দিক থেকে সব প্রক্রিয়া সারা হলেও তা আটকে ছিল ভারতের দিকে। কারণ, ভূমি ছাড়তে হলে ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংবিধান সংশোধনের সেই প্রস্তাব পাস হওয়ায় এখন বিরোধ নিষ্পত্তিতে চুক্তি কার্যকরের বাধা কাটল।”বিডি নিউজ ২৪
Discussion about this post