গাজীপুরের কালীগঞ্জে চার সন্তানের জননীকে (৩৬) ঘরে আটকে রেখে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী। এ ঘটনায় শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী তমিজ উদ্দিনকে (৫০)গ্রেফতার করেছে। ওই নারী শ্রমিক হিসেবে লেবাননে কাজ করতেন।
তমিজ উদ্দিন কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বালীগাঁও গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর মা ও স্বজনরা জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজৈর গ্রামের তৈয়ব আলীর মেয়ের সঙ্গে তার মামাতো ভাই তমিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চারটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্থানীয় এক কারখানার পাশে তমিজ উদ্দিনের চায়ের দোকান রয়েছে। সংসারের অভাব অনটন মেটাতে প্রায় চার বছর আগে স্বামীর সম্মতিতেই লেবাননে নারী শ্রমিক হিসেবে কাজে যান তার স্ত্রী। সেখান থেকে দুই বছর পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। প্রথম স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তমিজ উদ্দিন আরও পাঁচটি বিয়ে করেন। তবে সেগুলো টেকেনি। এদিকে প্রথম স্ত্রী দেশে ফিরে আসার পর পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। এর জের ধরে ঈদের একদিন পর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারদিন ঘরে আটকে রেখে তমিজ উদ্দিন তার স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে তমিজ উদ্দিনের বড় ছেলে তামিম বিষয়টি কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় তার স্বামী তমিজ উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ জানান, তমিজ উদ্দিন লোহার রড গরম করে তার গোপনাঙ্গ ও হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দিয়েছে এবং স্তনের কিছু অংশ কেটে ফেলেছে।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র অবস্থায় তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী তমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। পুলিশ তমিজ উদ্দিনকে শনিবার গ্রেফতার করেছে।
Discussion about this post