রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মার্টকার্ডের প্রস্তুতকরণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মার্টকার্ডের কারিগরি ও নিরাপত্তার দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
‘স্মার্টকার্ডে (জাতীয় পরিচয়পত্র) তিনটি স্তরে ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট থাকবে। এ কার্ডটি ১০ বছরের জন্য টেকসই করে তৈরি হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।’
এরই মধ্যে স্মার্টকার্ডের জন্য ৯ কোটির বেশি মানুষের তথ্যভাণ্ডার বা ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইহসানুল করিম।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজের অগ্রগতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র থেকেও সুফল পাওয়া যাবে। এ কার্ডের ফলে দুর্নীতি ও অপরাধ কমে
যাবে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে মানুষ কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে-এ বিষয়ে প্রচারণার ওপর গুরুত্ব দিতে সংশিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পরিচয়পত্র আইন-২০১০ অনুযায়ী এ স্মার্টকার্ড তৈরি করছে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি নিবন্ধন অনুবিভাগ।
উপস্থাপনার সময় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও ছিলেন।
Discussion about this post