চুল ছোট করে আসতে বলার পরও তা অমান্য করায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ২০ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি গ্রামের নূরানী কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসা ও হিফজখানায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ নিয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, ২০ এপ্রিল থেকে শিশুদের পরীক্ষা শুরু। এজন্য গত কয়েকদিন ধরে মাদ্রাসার শিক্ষক রবিউল ইসলাম ওই শিশুদের মাথার চুল কেটে আসতে বলছেন। কিন্তু শিশুরা তা না মানায় মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ক্লাসে দাঁড় করিয়ে কাঁচি দিয়ে সামান্য করে চুল কেটে দেন ওই শিক্ষক।
মাদ্রাসা শেষে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা মাদ্রাসায় গিয়ে এর জবাবদিহিতা চান। তবে এরআগেই ওই শিক্ষক সটকে পড়েন।
অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানান, ওই ছেলেদের মাথার চুল বড় হয়ে যাওয়ায় তাদের অনেক দিন ধরে চুল কেটে আসতে বলা হচ্ছে। কিন্তু না শোনায় কাঁচি দিয়ে প্রত্যেকের মাথায় অল্প চুল কেটে দিয়েছেন। যাতে তারা বাড়ি ফিরে চুল কাটায়।
এ বিষয়ে নূরানী কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসা ও হিফজখানার প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post