স্পট ফিক্সিং করে শাস্তি পাওয়া তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির এবং মোহাম্মদ আসিফকে খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরানোর কথা গতকাল অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। বিতর্কিত এ তিন খেলোয়াড়ের শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক কয়েক দিন আগে এমন কথা জানালো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ইংল্যান্ড সফরে ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ইচ্ছাকৃত নো বল করায় নিষিদ্ধ হওয়া এ তিন খেলোয়াড় পাঁচ বছরের শাস্তির মেয়াদ কাটিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর খেলায় ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে আগামী অক্টোবরে ইংল্যান্ড এবং প্রস্তাবিত ভারত সিরিজে তাদেরকে জাতীয় দলে ফেরানোর বিষয়টি দৃঢ়ভাবে নাকচ করেছেন পিসিবির প্রধান নির্বাচক হারুন রশিদ। উভয় সিরিজই সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার কথা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি’কে রশিদ বলেন, ‘পিসিবি থেকে যথাযথ নির্দেশনা দেয়ার আগ পর্যন্ত ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই তাদেরকে যুক্ত করা হবে না। তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে নির্বাচক কমিটি কোনো টাইম ফ্রেম বেধে দিতে পারে না।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল(আইসিসি) ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয় ।
ইংল্যান্ড সফরে ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছাকৃত নো বল করে আইসিসির নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়।
অপ্রত্যাশিত হলে আমির ইতোমধ্যেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন এবং বাট ও আসিফও পুনরায় জাতীয় দলের ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তবে পাক দলের সাবেক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রশিদ বলেন, তাদের জাতীয় দলে ফিরতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর কেবলমাত্র দুটি ম্যাচেই একজনের পারফরমেন্স বিচার করা যায় না।’
‘এ বিষয়ে পিসিবি ইতোমধ্যেই একটি বিবৃতি দিয়েছে এবং আইসিসি’র কাছ থেকে জবাবের অপেক্ষায় আছে।’
নিষিদ্ধ খেলোয়াড়রা যাতে শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারে সে বিষয়ে এ বছর জানুয়ারি মাসে আচরণ বিধিতে কিছু নিয়মে পরিবর্তন আনে আইসিসি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অনুমতি পায় আমির।
আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য পাকিস্তান জাতীয় টি-২০ চ্যাম্পিয়নশীপে লাহোর ও শিয়ালকোটের হয়ে খেলার কথা রয়েছে বাট ও আসিফের। তবে তাদের অংশ গ্রহণের বিষয়টি এখনো অনুমোদন দেয়নি পিসিবি।
সূত্রঃ নয়া দিগন্ত
Discussion about this post